ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন শ্রীলংকার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানে হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। এই নিয়ে নবম বার টেস্ট ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারল টাইগাররা। এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধান হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দলা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়ার পঞ্চম বলেই আসে প্রথম ধাক্কা। ক্রিজে থাকা বাংলাদেশের শেষ ভরসা লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। ৪৩ বলে ১৪ রান করা লিটন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েও ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বল তুলে দেন কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে। প্রবাথের পরের ওভারে আরও বড় বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এবার নাঈম হাসান। এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে প্রবাথের টার্ন করা বলেই পরাস্ত হন। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের দক্ষ স্টাম্পিংয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি, মাত্র ৫ রানে।
এরপর প্রবাথের ঘূর্ণিতে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান তাইজুল ইসলাম। এটা ছিল জয়সুরিয়ার ইনিংসের পঞ্চম উইকেট। নিজের দারুণ স্পেলের শেষ রঙটা ছড়ান থারিন্দু রত্নায়েক, তার বলে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন ইবাদত হোসেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
এর আগে, কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল অধিনায়ক শান্ত। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় টাইগাররা। সাদমান ইসলামের লড়াকু ৪৬, মুশফিকুর রহিমের ৩৫, লিটন দাসের ৩৪, তাইজুল ইসলামের ৩৩ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ৩১ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় মাত্র ২৪৭ রানের সংগ্রহ।
তবে বড় ব্যবধান তৈরি হয় বল হাতে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা খুব সাবলীলভাবেই নিজেদের ব্যাটিং করে যায় । সিরিজ ও ম্যাচসেরা পাথুম নিশাঙ্কা খেললেন অনবদ্য ১৫৮ রানের ইনিংস। অভিজ্ঞ দীনেশ চান্দিমাল যোগ করেন ৯৩ রান, কুশল মেন্ডিস করেন ৮৪। সব মিলিয়ে ৪৫৮ রানে থামে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে কিছুটা সান্ত্বনা এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যিনি ১৩১ রান দিয়ে শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। নাঈম হাসান পান তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১৫ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল ছয় উইকেট।
Leave a Reply